সামাজিক বিজ্ঞান

 সামাজিক বিজ্ঞান 

সামাজিক বিজ্ঞান
সামাজিক বিজ্ঞান 


সমাজবদ্ধভাবে জীবন যাপন করার জন্য মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন, চাহিদা ও আদান-প্রদানে নানা সমস্যা প্রভৃতির বিজ্ঞানসম্মত সমাধান করে মানব জাতির কল্যাণ সাধন করা Social Science বা সামাজিক বিজ্ঞানের লক্ষ্য। সুতরাং মানুষ মাত্রই সোস্যাল সাইন্স সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।


সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science)

সোস্যাল সাইন্স সম্পর্কে জানার পূর্বে Science কী তা জানা প্রয়োজন। Science বা বিজ্ঞান বলতে আমরা বুঝি “পরীক্ষিত, প্রমাণিত, সত্য ও যথাযথ যে জ্ঞান, তাই বিজ্ঞান।" বিজ্ঞান সাধারণত দুইভাগে বিভক্ত, যেমন-

 (i) Natural Science বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং

 (ii) Social Science বা সামাজিক বিজ্ঞান।

আরও পড়ুন, 




(i) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (Natural Science) : 

যে বিজ্ঞান প্রকৃতি প্রদত্ত কোনো বস্তু বা ঘটনার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান দান করে তাকে Natural Science বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বলে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন শাস্ত্র, জীববিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি Natural Science-এর আওতাভুক্ত।


(ii) সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science) :

 অপর দিকে যে বিজ্ঞান মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে তাকে Social Science বা সামাজিক বিজ্ঞান বলে। পৌরবিজ্ঞান বা অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ধনবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র, নীতিশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, অংকশাস্ত্র, ইতিহাস, ভূগোল ও সাহিত্য-সংস্কৃতি ইত্যাদি Social Science-এর আওতাভুক্ত।


সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, সোস্যাল সাইন্স নির্দিষ্ট একটি বিষয় নয়, সমষ্টিগত বিষয়ের একত্রিত একটি নাম। সমাজ বিষয়ক সকল বিজ্ঞানসমূহের সম্মিলিত ইংরেজি নাম হলো Social Science. অনেকগুলো বিষয়ের উপর সমাজ ব্যবস্থা নির্ভরশীল। 

সমাজবদ্ধভাবে জীবন যাপন করার জন্য মানুষের অনেক কিছুর প্রয়োজন। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়গুলো প্রত্যেক মানুষের জন্য এতো বেশি প্রয়োজন যে, এটা হতে যথাযথ জ্ঞান আহরণের জন্য এক একটি বিষয়

 নির্দিষ্ট বিজ্ঞানরূপে স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আর এসব বিষয়ের সমষ্টি হলো সোস্যাল সাইন্স। Social Science-কে বাংলাতে কেউ কেউ সামাজিক বিজ্ঞান বলে থাকে। 

অবশ্যই পড়ুন, 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন