শীতে শিশুর নানা সংক্রমণ!শীতে শিশুর যত্ন

শীতে শিশুর নানা সংক্রমণ! শীতে শিশুর প্রয়োজন বাড়তি যত্ন

শীতে শিশুর নানা সংক্রমণ!শীতে শিশুর যত্ন




 শীতে সাধারণভাবে ভাইরাসজনিত (যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ও রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের মাধ্যমে সংঘটিত) শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, গলাব্যথা ও ভাইরাসজনিত উদরাময়-ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়।

 একটু সতর্ক থাকলে এর অনেকগুলো থেকে শিশুকে দূরে রাখা যায়। আর কিছু ক্ষেত্রে এসবে ভুগে শিশুরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, সে ব্যাপারে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু)

ফ্লু সাধারণ থেকে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। যেসব শিশু অ্যাজমা, জন্মগত হার্টের ত্রুটি বা রোগ প্রতিরোধ শক্তিতে দুর্বল, তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। 

তারা স্কুলে যেতে পারে না, জ্বর, তীব্র কাশি ও বমি দেখা দেয়। সাধারণত বিশ্রাম, সঠিক পুষ্টি ও উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়। তবে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, ফ্লু ভ্যাকসিন বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে।


রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি)

 এ ভাইরাস সব বয়সী মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। গলাব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া এ রোগের উপসর্গ। ছোট্ট শিশুদের কাশি, শ্বাসে শাঁই শাঁই শব্দ উপসর্গাদির বেশি থাকে। শিশুরা নিউমোনিয়ার লক্ষণ নিয়েও হাজির হয়।


স্ট্রেপটোকক্কালজনিত ফ্যারিনজাইটিস (স্ট্রেপথ্রোট)

 গলাব্যথা এর প্রধান উপসর্গ। গলাব্যথার উপসর্গ কেবল ১৫-২৫ ভাগ ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ভাইরাসজনিত কারণে ঘটে, ফলে এতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত স্ট্রেপথ্রোট অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে। এতে বাতজ্বরের মতো জটিলতা থেকে শিশু রক্ষা পাবে।

উদরাময়

শীতকালে বমি, ডায়রিয়ার জন্য রোটাভাইরাস দায়ী। তবে অন্যান্য ভাইরাসের কারণেও হতে পারে। শিশু যাতে পানিস্বল্পতায় না পড়ে, সে জন্য ডায়রিয়া বা বমি হওয়ার প্রথম থেকেই শিশুকে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানো শুরু করে দিতে হবে। বুকের দুধ পান ও স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রতিককালে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রতিরোধক টিকা পাওয়া যায়।

শিতে শিশুর যত্ন নিবেন যেভাব

বেশির ভাগ শীতকালীন রোগ স্বল্প সময়ের, শিশু আপনা-আপনি সেরে ওঠে। তবু শীতকালে যেন শিশু বেশি অসুস্থ না হয়, সে জন্য সচেতন হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে যা করণীয় :


*শিশুকে রোগ প্রতিরোধক টিকা দিয়ে দেওয়া। * বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস রপ্ত করানো।

*পুষ্টিকর খাবার দেওয়া। ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করা।

* ঘরে জ্বরের প্যারাসিটামল সাসপেনশন রাখা। * খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেট ঘরে রাখা।

*দ্রুত অসুস্থ হয়ে গেলে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা আগেভাগে বিবেচনায় রাখা।


বেশির ভাগ শীতকালীন রোগ স্বল্প সময়ের, শিশু আপনা-আপনি সেরে ওঠে। তবু শীতকালে যেন শিশু বেশি অসুস্থ না হয়, সে জন্য সচেতন হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন,




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.