বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমতুল্লাহ।
1)হঠাৎ চোট লাগা ব্যথা:
চলতে ফিরতে হাত-পা মচকে যাওয়া কোনও নতুন কথা নয়। দুটো কদমের সতেজ পাতা চোট পাওয়া জায়গাটাতে শক্ত করে বেঁধে নিন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যাবে।
2)মেচেতার সমস্যা:
আধ চামচ অর্জুন, বকুল, বচ গরম পানি দিয়ে মেখে মধু মিশিয়ে খেলে মেচেতার দাগ কয়েকদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।
3)হঠাৎ রক্তপাত:
কোনও ধারালাে কিছুতে লেগে শরীরের কোথাও কেটে গিয়েছে। শরীর নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ডাক্তারের কাছে তাে যাবেনই। তার আগে ১০০ গ্রাম গাওয়া ঘি-র মধ্যে ২০টা গােলমরিচ গুড়াে করে পেশেন্টকে খাইয়ে দিন। বিষের প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে কমজোরি হয়ে যাবে।
4)ধূমপান দোষ বন্ধ করতে:
মন শক্ত করুন। আর টিপসটা জেনে রাখুন- হরিতকী আধ চামচ, কলাপতার রস এক কাপ মিশিয়ে রােজ একবার খান। ধোয়া অভ্যাস দু'দিনে পালাবে।
5)অনিদ্রা রােগ:
= রাতে ঘুম আসে না। ঘুমের ওষুধ খেয়েও এখন আর কাজ হয় না। আর কাজ হলেও ঘুমের ঔষুধ আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমরা জানি , এর
সহজ দাওয়াই-বেগুন। একটা বেগুন পােড়ান। সম্ভব হলে কয়লা বা কাঠের আঁচে
বেগুন পােড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে চেটে খান। অন্দ্রিাজনিত অসুস্থতা সেরে যাবে।
6)ক্রিমি তাড়ান:
বাচ্চারা বিশেষ করে ক্রিমির সমস্যায় ভােগে। ১০ ফোঁটা কাঁচা পেপের রস পানিতে
মিশিয়ে পর পর কয়েকদিন খেলে ক্রিমি নাশ হয়। পুষ্ট আনারস পাতার গােড়ার দিকে।
ফিকে রঙের অংশটা বেটে রস করে খাওয়ালে উপকার হয়।
7)বাচ্চাদের ঠাণ্ডা সরাতে:
⇒ খাটি সরিষার তেল বাচ্চার হাতে-পায়ে তালুতে এবং পায়ু মুখ সহ থলথলে মাংসে ভাল
করে মালিশ করে দিন এক রাতেই ঠাণ্ডা পালাবে।
8)অর্শের রক্তপাত বন্ধ করতে হলে:
= এক চা চামচ করলার রসে অল্প চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অর্শের কষ্ট লাঘু হয়। রক্ত
পড়া বন্ধ হয়।
9)মূত্রনালীর যন্ত্রণারােধ:
= কাঁচকলা শুকিয়ে গুঁড়াে করুন। রােজ দুধের সঙ্গে দু'চামচ মিশিয়ে খান মূত্রনালীর ব্যাধি-
যন্ত্রণা সেরে যায়।
10)বােলতা বা ভীমরুলের কামড়:
এ ধরনের পতঙ্গ কামড়ালে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। ঝটপট কিছুটা কেরােসিন লাগিয়ে দিন,
হুলটা তুলে ফেলার পরে। যন্ত্রণা কমে যাবে। তাছাড়া হাতে কাছে ওল গাছেট ডাটা
পেলে রসটা লাগান। ব্যথা-যন্ত্রণার সম্পূর্ণ উপশম হবে।
11)মাথা ব্যথার দুই দাওয়াই:
= শুকনাে ঝিঙে গুঁড়াে কাচের বৈয়মে রাখুন। মাথায় অসহ্য ব্যথা হলে নাস্যির মতাে করে এই গুঁড়াে টানুন। উপশম হবে। এছাড়া পরিষ্কার ন্যাকড়ায় আগুন দিয়ে ধোয়াটা নাক দিয়ে টানলেও চটজলদি মাথা ব্যথা সেরে যাবে।
12)বিছের জ্বালা কমাতে:
= বিছে সাঙ্গাতিক বিষাক্ত। কামড়ালে অসহ্য জ্বালা হয়। ঝটপট তেলাকচুর পাতা জোগাড়
। থেতাে করে
করে ওই জায়গাটাতে প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা নিরাময় হবে। এছাড়া
সিমের রস
র রস লাগালেও যন্ত্রণা কমে যায়।
13)ফোড়া সারার দাওয়াই:
গরমে বাচ্চাদের ফোড়া সমস্যার বারবার হয়। বাজার থেকে গাজর কিনে আনুন। শিলে
বেঁটে ন্যাড়া করে ফেঁাড়ার উপরে বেঁধে দিন। প্রদাহ দ্রুত কমবে। একদিনের মধ্যে
ফোড়া সেরেও যাবে।
14)রাতকনা রােগ তাড়ান:
ও পালং শাক ঘি দিয়ে ভেজে কয়েকদিন খেলে রাতকানা রােগ সেরে যায়।
15)পাইরিয়া সারান:
ধনে পাতা চিবিয়ে নিয়মিত আঙুল দিয়ে দাঁত মাজুন। আধঘণ্টা পরে মুখ দিয়ে ফেলুন।
পাইরিয়া সারবে। এমনকি বৃদ্ধদের বনড়া দাঁতের মাড়িও আবার যৌবন লা করবে।
পেয়ারা পাতা চিবিয়ে এক চিমটে নুন দিয়ে দাঁত মাজলেও একই উপকার হয়।
16)আগুনে পোড়া:
আগুনে বাড়াবাড়ি রকমে পুড়ে গেলে আমপাতা বেটে প্রলেপ দিন। যন্ত্রণা কমে যাবে।
17)দাদের আরাম:
পেঁয়াজের রস দাদের উপরে লাগান। চটজলদি উপকার হবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদী
সুরক্ষার জন্যে পর পর এক সপ্তাহ এ অভ্যাস চালিয়ে যেতে হবে।
18)গরম তেল ছিটকে লাগলে:
3 মাছ কড়াইতে ফিললে গরম তেল ছিটকে শরীরে লেগে একদম যা তা অবস্থা হয়ে যায়।
ফোসকা পড়ে। জ্বালা করে দীর্ঘক্ষণ । ওষুধ খুঁজতে এ-ঘর থেকে সে-ঘর দৌড়াতে হবে
। প্রথমে ফ্রিজের কোলড ওয়াটার দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিন। খানিকটা কাচা আলু
ঘেঁতলে নিয়ে পােড়া জায়গাটাতে লাগিয়ে দিন। জ্বালা সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে। ফোসকাও
পড়বে না।
19)পেতলের বাসন ঝকঝকে করার কৌশল:
⇒ পেতলের বাসন প্রায় প্রত্যেক গৃহস্থ ঘরেই থাকে। হাজার ঘষলেও সেই পুরনাে
ম্যাটমেটে ভাবটা যায় না। ক'ফোঁটা সেলাই মেশিনের তেলে হলুদের গুঁড়াে মিশিয়ে
মেজে ফেলুন। দেখুন নতুন বাসনের মতাে উজ্জ্বল দেখাচ্ছে পুরনাে পেতলের বাসন।
20)টিপের দাগ তাড়ান:
= গােছলের সময় টিপ কপাল থেকে খুলে বাথরুমের আয়নায় লাগিয়ে রাখেন অনেক
মেয়েই। সেখানটাতে কিছুদিন পরেই বিশ্রী দাগ হয়ে যায়। আঠার ওই দাগটা নানা
কসরতেও যেতে চায় না। পরিষ্কার কাপড়ে নারকেল তেল ক'ফোঁটা লাগিয়ে ঘসে দিন
আঠার উপর। দাগ পালাবে।
21)দুধের পোড়া গন্ধ দূর করতে:
একটু অসতর্ক হলেই দুধে পোড়া গন্ধ হয়ে যায়। দুধটা বাতিল না করে একটা প্রমাণ আকারের পানপাতা ফেলে আবার জাল দিন। পােড়া গন্ধ চলে যাবে। ফ্রেশ
দুধের ফ্লেভার ফিরে আসবে।
22)নরম মাছ মচমচে করে ভাজুন:
কিছু মাছের গা অসম্ভব হালকা হয়। ভাজতে গেলে সহজেই ভেঙ্গে যায়। এক কাজ
করুন। মাছের পিসগুলােকে তেঁতুল গােলা পানিতে মিনিট দশেক ডুবিয়ে রাখুন ভাজার
আগে। তেঁতুল গােলা পানি ঝরিয়ে তারপর ভাজুন। মাছের টুকরাে ভাঙবে না। মচমচেও
হবে আগের থেকে অনেক বেশি।
23) বাচ্চার ঘরে মাছির উপদ্রব:
= গরম কালে মশা মাছির সাঙ্গাতিক উপদ্রব বাড়ে। এ কোনও নতুন কথা নয়। ঘরে।
মােছার আগে মেঝেতে নুন ছড়িয়ে দিন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ঘর মুছুন। মাছি,
পিপড়ে বাচ্চার ঘরের চৌকাঠা মাড়াবে না।
24)মশা তাড়াবার কৌশল:
⇒ গরমকালে মশার সমস্যায় বাড়াবাড়ি। সাদা বাল্বের গায়ে হলুদ সেলােফেন পেপার
জড়িয়ে দিন। হলুদ আলাে মশা তাড়াতে ওস্তাদ। মশা তাড়াবার অন্যান্য কায়দাগুলাের
মতাে বাচ্চার বি নিজের শরীরে খারাপ কোনও এফেক্টও পড়বে না।
কয়েক টুকরাে কর আধ কাপ জলে ভিজিয়ে খাটের নীচে রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমান। মশা ঘরে
| ঢােকার চেষ্টাও করবে না।
25)সাপের সঙ্গে আড়ি:
⇒ গরমের সময় মফসসলে সাপের দৌরান্ত সাঙ্গাতিক। ঘরে প্রত্যেক কোণে রসুন বেটে
কাপরের পুটিলিতে করে রেখে দিন। যতদিন রসুন তাজা থাকবে সাপ ঢুকবে না।
26)মাছির যম:
⇒ পুদিনা পাতা বাজার থেকে সংগ্রহ করুন। পাঁচ গাছি পুদিনা পাতা গ্লাসে পানি দিয়ে তার
মধ্যে রেখে দিন। দু'দিন অন্তর পানি বদলে দিন। দেখুন মাছি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে
না।
27)গর্ভাবস্থায় বমি:
= অনেক মেয়েরই প্রেগন্যান্সির প্রথম দিকটাতে বমি হয়। এই সময় হিঞ্চে শাকের রস
দিনে তিনবার এক চামচ করে খাইয়ে দিন। মন্ত্রের মতাে উপকার পাবেন।
28)গর্ভাবস্থায় অরুচি:
= প্রেগনান্সি পিরিয়ডে নিজে যদি ভাল করে না খান, বাচ্চাটা পুষ্টি সংগ্রহ করবে কোথা
থেকে? শসা পাতা, কুমড়াে শাক, লাউ পাতা, কলা পাতায় জড়িয়ে সেদ্ধ করে দিন।
গরম ভাতের পাতে পরপর দু'দিন খান। অরুচি কমে যাবে।
29) ঋতুপ্রাপ্তি:
⇒ ঋতু সমস্যা মেয়েদের পরমায়ুর অনেকটা জুড়ে লেগে থাকে। অনিয়মিত ঋতু হতে
থাকলে গাজরের বীজে সামান্য পানি দিয়ে বেটে দিন পাঁচেক খান। ঋতুপ্রাপ্তি সময়ে
হবে। তবে এই টোটকা বেশি মাত্রায় খেলে গর্ভনাশ ও হতে পারে।
আরও পড়ুন,
30) চুলের পুষ্টি:
টোটকায় চুলের টোটাল সুরক্ষা।
চুল নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। আগা ফাটা, জট পড়া, পেকে যাওয়া, গােছা গােছা চুল
ওঠা এরকম পর্দ বানালে না জানি কত লম্বা হবে সেটা। কিছু ঘরােয়া টোটকা জানা
থাকলে এসব সমস্যার মােকাবিলা সহজেই করতে পারবেন।
তেই
নিয়মিত কারিপাতা নারকেল তেলে আধঘণ্টা ফুটিয়ে মাথায় মাখুন। ঘণ্টাখানেক রাখার
ঘরে।
পর ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য অটুট থাকবে।
31চুল পাকা বন্ধ করতে হলে:
সিলারি পাতা একমুঠো নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করুন। একটা গােটা লেবুর রস ওই
পানিতে মিশিয়ে মাথায় লাগান। অকালে চুল পেকে যাওয়া বন্ধ হবেই হবে।
32)খুসকি সমস্যার মােকাবিলা:
গােসলের আগে টক দুই মাথায় মেখে মিনট দশেকে ম্যাসাজ করুন। তারপর আঘণ্টা
রেখে ধুয়ে ফেলুন। এবার ভিজে চুলে ভিজিয়ে রাখা মৌরি বেটে ডলে ডলে লাগান।
খুসকি একদম চলে যাবে।
33)দ্রুত চুলের বৃদ্ধি:
অনেকের চুল ধীরে বাড়ে। কিন্তু মনের সুপ্ত ইচ্ছা দীর্ঘ কালাে কোমর ছাপানাে চুলের ।
শুকনাে আমলা নারকেল তেলে ফুটিয়ে নিয়ে রাতে শােওয়ার আগে ঘষে ঘষে মাথায়
লাগান। চুল
চুল দ্রুত বড় হবে।
34)জন্ডিস সারাতে:
এক গ্রাম পিপুলের ছালের ছাই গিলে খেয়ে এক বা দু’গ্লাস লাচ্ছি পান করুন। এতে
শরীরের সমস্ত হলুদ ভাব বেরিয়ে যায় ।জন্ডিসের সব থেকে ভাল চিকিৎসা হচ্ছে আখ। আখ চুষে খেলে বা আখের তাজা রস পান
করলে জন্ডিস রােগ প্রতিরােধ করা যায়। ছােলার ছাতুর সঙ্গে আখের রস সেবন করলেও
জন্ডিস রােগ বরাবরের জন্য দূর হয়ে যায় ।
কমলালেবুর রস সকাল-সন্ধে পান করলেও জন্ডিস রােগে লাভ হয়।
মুসম্বি, আঙুর, আঁকড়ি, কাঁকড়ি, শসা, টমেটো, আমলা, গাজর, পেঁপে, করলা ইত্যাদি খেলে
জন্সি রােগ আটকানো যায়।
লেখকঃA.K
Tags:
সাস্থ্য
Nice
উত্তরমুছুনTnx
উত্তরমুছুন