বিভিন্ন রোগের কারণ লক্ষন ও চিকিৎসা।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমতুল্লাহবিভিন্ন রোগের কারণ লক্ষ্ণ চিকিৎসা ও পথ্য সম্পর্কিত বিবরণ। medical tips


বিভিন্ন রােগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও পথ্য সম্পর্কিত বিবরণঃ

→ আমাশয়ঃ

রােগের কারণ- 

অ্যামিবা ব্যামিবা ব্যাসিলাস নামে একপ্রকার জীবানুর আক্রমণে এই
রোগ হয়।

রােগের লক্ষণ- 

অনবরত পেট কামড়ায়, পিচ্ছিল পায়খানা হয়। সাদা সাদা চর্বির মত পায়খানা হয়।

রােগের চিকিৎসা- 

থানকুনি পাতা, পাথরকুচি পাতা, দুর্বা ও আদা প্রতিটির ৩ গ্রাম করে
রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা ১ চামচ করে তার রস খান। ৭ দিনে
আমাশয় নিরাময় হবে।

পথ্যাপথ-

ভাতের সঙ্গে থানকুনি পাতার বাটা খান। কাঁচকলা, পেঁপে ও থানকুনি পাতার ঝােল খান।

রক্ত আমাশয়ঃ-

→ রােগের কারণ- 

আমাশয়ের অনেক দিন ভুগলেই এই আমাশয় হয়।

= রােগের লক্ষণ- 

মলের সঙ্গে রক্ত মিশ্রিত আম পড়ে, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় আর বার।
বর পায়খানা হয়।

রােগের চিকিৎসা- 

২৫ গ্রাম গাঁদা ফুলের রসের সঙ্গে ৫০ গ্রাম দুর্বার রস মিশিয়ে তার ১
চামচ করে ৩ ঘন্টা পরপর ৪ দিন খেলে রােগ নিরাময় হয়।

পথ্যাপথ্য- 

থানকুনি পাতা বাটা, কাঁচকলা সেদ্ধ ও পেঁপে সিদ্ধ খাবেন।

কৃমিঃ-

= রােগের কারণ- 

বাসি পচা মাছ-মাংস, তরিতরকারি খাওয়া, কটিযুক্ত অপরিষ্কার কাঁচা ফল খাওয়াতে এই রােগ হয়। পায়খানা পরিষ্কার না হলেও এই রােগ হয়।

রোগের লক্ষণঃ-

পেট ব্যথা করে, পেট ফাপে, মলদ্বার ও নাক চুলকায়, মুখে অনবরত থু থু ওঠে, রাতে অনবরত দাত কিড়মিড় করে, মুখে দুর্গন্ধ হয়।

 রােগের চিকিৎসা- 

১ চামচ করে কালােমেঘ, চিরতা, নিমপাতা, পলাশ বীজ চূর্ণ মিশিয়ে তার ভিতর ১ চামচ মধু দিয়ে রােজ সকালে খালি পেটে খান কৃমি ৩ দিনে মরে যাবে।

পথ্যাপথ্যঃ-

হালকা অথচ পুষ্টিকর ও টাটকা খাবার খাবেন। কলা, গুড়, চিনি খাবেন না ।চা কফিও খাবেন না।

জন্ডিসঃ-

রােগের কারণঃ-

অতিরিক্ত রােদে ঘােরা, অনিয়মিত আহার গ্রহণ, যকৃতের দোষ, কৃমি ও মদ্যপানের দরুন এই রােগ হয়।
রােগের লক্ষণ- এই রােগ হলে চোখ, শরীর ও মূত্র সবই হলুদ হয়।

রােগের চিকিৎসাঃ-

কুলেখাড়া, কলমী, নিমগুলঞ্চ, হেলেঞ্চা ও কাঁচা হলুদের রস ১ চামচ করে নিয়ে মেশান এবং তা রােজ সকালে খালি পেটে ২ চামচ করে খান। ১০ দিনে রােগ নিরাময় হবে।

পথ্যাপথ্য- 

আখের রস, বাতাবি লেবু, মিছরি ভেজানাে পানি অবশ্যই খাবেন। আর রােগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছে, কাঁচকলা, পেঁপে সিদ্ধ দিয়ে ভাত খাবেন।

খুসকিঃ-

রােগের কারণ- 

চুল বেশি রেখে তার যত্ন না নিলে এই রােগ হয়।
মত পর্দার্থ বের হয়।

রােগের লক্ষণ- 

সব সময় মাথা চুলকায়। চুলের গােড়া থেকে মরা মাছের মত, ছাইয়ের মত পদার্থ বের হয়।




এ রোগের চিকিৎসা- 

২৫ গ্রাম সরষের তেলের ভিতর ৫ গ্রাম কুড় ভস্থ মিশিয়ে খুসকি জায়গায় লাগালে ২ দিনে খুসকি নির্মুল হবে।

টাক পােকাঃ-

রােগের কারণ- 

একপ্রকার ফ্রাংগাস ইনফেকসান থেকে এই রােগ হয়।

রােগের লক্ষণ- 

মাথা ভর্তি গাঢ়, ঘন চুলের মধ্যে হঠাৎ একটা জায়গায় চুল উঠে যায় একে আমরা বলি টাক পােকা।

 রােগের চিকিৎসা-

জায়গাটাতে টাক পড়ে সেখানে খসখসে কোন কিছু দিয়ে ঘসে নিন। এবার ৫ গ্রাম করে হন্তিদন্ত ভষ্ম ও রসাঞ্চনের সঙ্গে ৩০ গ্রাম তিল তেল মিশিয়ে ঐ টাকের জায়গায় ঘসুন। যতদিন সেখানে চুল না গজায় ততদিন গােসলের পর আর রাতে শুতে যাবার আগে ঐ তেল মাখুন।

 চুলকানি ও পাঁচড়াঃ-

রােগের কারণ- 

রক্ত দূষিত থাকায় এবং অপরিষ্কার থাকার জন্য এই রােগ হয় ।

রােগের লক্ষণঃ-

প্রথমে ঘামাচির মত ছােট ছােট ফুস্কুরি ওঠে, তা ভীষণ চুলকাতে থাকে,
তারপর তা দিয়ে কষ বের হয়, একে বলে চুলকানি। আর অনেক সময় ঐ চুলকানি বড়
বড় ফোস্কায় পরিণত হয়, তা পাকে, পুঁজ হয় এবং ঘা হয় একে পাঁচড়া বলে।

রােগের চিকিৎসা- 

এই রােগের সর্বোক্তৃষ্ট ঔষধ হল ২৫ গ্রাম নিমপাতা, ২৫ গ্রাম
নিমছাল, ২৫ গ্রাম নিমের শিকড়, ২৫০ গ্রাম কাঁচা দুধ দিয়ে বেটে তা ২৫০ গ্রাম
নারকেল তেল দিয়ে ফোটান। ঐ তেল যখন ১০০ গ্রাম হবে তা নামিয়ে ছেকে ঐ ঘায়ের
স্থানে লাগান বা চুলকানিতে লাগান। চুলকানিও পাঁচড়া সেরে যাবে ৭ দিনে ।

 পথ্যাপথ্য- 

টক জাতীয় খাবার, তেলেভাজা ও ঘি খাবেন না। 

এলার্জীঃ-


 রোগের কারণ- 

এই রােগটা হয় সাধারণত মানুষের শরীরের উপর। এক একজনের শরীরে এক একটি জিনিস সহ্য হয় না।


রােগের লক্ষণঃ-

দেহের নানা জায়গায় ফুলে ওঠে, চুলকায়।

রােগের চিকিৎসা- 

কাঁচা হলুদের গুড়াে ১০০ গ্রাম এবং অন্যান্যগুলি ৫০ গ্রাম করে নিয়ে
মিশিয়ে একটা শিশিতে রেখে দিন। এবার এই ঔষধটি প্রতিদিন ৫ গ্রাম করে ৭ দিন
খান এলার্জ হবে না

পথ্যাপথ্য- 

চিংড়ি মাছ, বােয়াল মাছ, ইলিশ মাছ, ডিম, বেগুন, রসুন, পেঁয়াজ প্রভৃতি এলার্জী হলে খাবেন না।

দাদঃ

রােগের কারণ-

 যারা অতিরিক্ত পেঁয়াজ রসুন খায়, অপরিষ্কার থাকে এবং খুব কষে কাপড়, সায়া প্রভৃতি পরে তাদের এই রােগ হয়।

রােগের লক্ষণঃ-

গােল গােল চাকা চাকা হয়ে ফুটে ওঠে, অসম্ভব রকম চুলকায়, চুলকাতে চুলকাতে ছাল উঠে যায়, রক্ত বের হয়, তারপর তা পেকে পুঁজ ও ঘা হয়। শুকিয়ে গেলেও দাগ থেকে যায়।

রােগের চিকিৎসাঃ-

একটি পাথরের বাটির মধ্যে নারকেল মাল্য রেখে পােড়ান। তার উপরে আর একটি পাথরের বাটি চাপা দিন। মালাটি পুড়ে গেলে পাথরের বাটিটি তুলুন
দেখবেন উপরের পাথর বাটিতে কালাে কালাে তেলের মত পদার্থ জমে আছে।
তেলটি দাদের জায়গায় ২/৩ দিন লাগালে দাদ সারে। তুলসী পাতার সঙ্গে নুন মিশিয়ে
দাদের জায়গায় লাগালে দাদ সারে।

 পথ্যাপথ্য-

 টক, তেলেভাজা, ঘি জাতীয় খাবার, পেঁয়াজের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খাবেন না।

শ্বেতীঃ-

রােগের কারণ- 

যকৃতের দোষে এই রােগ হয়।

রােগের লক্ষণ-

গায়ের চামড়ায় সাদা দাগ পড়ে।

রােগের চিকিৎসা- 

(১) ২৫ গ্রাম ক্যাস্টর অয়েল এবং ২৫ গ্রাম শ্যাওড়া গাছের তেল
মিশিয়ে শ্বেতীর জায়গায় লাগালে শ্বেতী সারে । (২) চালমুগরার বীজ ও বুচকী দানার
গ্রাম করে নিয়ে বেটে বড়ি তৈরি করে শুকিয়ে রেখে দিন। রােজ সকাল-বিকাল তার
২টি করে খান।

 পথ্যাপথ্য- 

বেশি করে তেতো খাবেন। টক, ঝাল, মিষ্টি ও শুরু পাক কোন আহার খাবেন না।

ব্রণঃ

রােগের কারণ-

 লিভারের দোষ এবং পায়খানা পরিষ্কার না হলেই ব্রণ হয়।

রােগের লক্ষণ- 

সমস্ত মুখে ছােট ছােট ফুস্কুড়ি হয়, তার ভিতরে একটি সাদা শাল থাকে। সেটা চেপে বের করলে মুখে দাগ হয়।

রােগের চিকিৎসা- 

শঙ্কের গুড়ার সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে মলমের মত করে ব্ৰণতে লাগালে বগ সারে। আর ১ চামচ নিমপাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ কাঁচা হলুদের রস ও ১ চামচ
বিনি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে ১ মাস খেলে ব্রণ হবে না।ব্রনের সমস্যায় উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই ভােগে । এর হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে
প্রতিদিন ভাল করে সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা এবং কোষ্ঠ সাফ রাখা বিশেষ
প্রয়ােজন। এছাড়া হট ভেপার বা গরম পানির ভাপ নেওয়াটাও জরুরী।

ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে বিবিধ টিপসঃ

 কমলালেবুর খােসা বেটে সারা মুখে মাখা ও আঘণ্টা বাদে আঙুলের ডগা দিয়ে রগড়ে ধুয়ে ফেলা।

এক চামচ ধনে পাতার রসের সাথে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে সারা মুখে মাখলে ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।

শসার ও লেবুর রস দিনে তিন-চারবার ব্রণের উপর বা দাগের উপর লাগানাে।

মূলতানি মাটিকে বরফ পানিতে ভিজিয়ে বা ঠাণ্ডা পানিতে এক ঘণ্টা রেখে ভালভাবে ফেটিয়ে মুখে লাগালে উপকার হবে।

 আধ চামচ করে আমলকী, হরিতকী ও বেড়েলা এক সাথে মিশিয়ে উষ্ণ পানি দিয়ে খান।

নিশিন্দা ও বেলপাতার রসের সাথে কপূর দিয়ে ব্রণতে লাগানাে উচিত।

ব্রণ শুকিয়ে গর্তের মতাে হলে অশ্বথ ছালের গুঁড়াে পেস্ট করে ক্ষতে লাগান দিনে দু বার।

মুখে বড় বড় ব্রণ হলে এক চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে শুষনি শাক ও ব্রাহ্মী শাক ভেজে
খাওয়া। কাঁচা দুধ দিয়ে মিশুল কাঁটা বেটে দিনে দুবার করে ব্রণের উপর লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

ছুলিঃ

রােগের কারণ-

 লিভারের দোষ ও রক্ত দুষ্টির জন্য এ রােগ হয়।

রােগের লক্ষণ- 

চামড়ার জায়গায় সাদা হয়।

রােগের চিকিৎসা- 

২৫ গ্রাম কচি নিমপাতা, ২৫ গ্রাম, সােহাগার খৈ, ১৫ গ্রাম সাদা
চন্দন, ১৫ গ্রাম হরিতাল একসঙ্গে বেটে, তার ভিতর শখের গুঁড়াে মিশিয়ে খুলির
জায়গায় দিনে একবার করে ১৫ দিন লাগালে ছুলি সারবে।
.

 বাতঃ

রােগের কারণ-

 যকৃতের দোষ, ঠাণ্ডা লাগা, ঠাণ্ডা জিনিস খাওয়া প্রভৃতি কারণে বাত রােগ হয়।

 রােগের লক্ষণ- 

প্রথমে গাঁটগুলি লাল ও বেদনাযুক্ত হয়ে জ্বর হয়। তাছাড়া ঘাম,কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথায় যন্ত্রণা, তৃষ্ণা, প্রলাপ, হার্টের গােলযােগ প্রভৃতি এই রােগ হলে দেখা যায়।

 কানে যন্ত্রণাঃ

রোগের কারণ- 

কানে আঘাত লাগা, ঠাণ্ডা লাগা প্রভৃতি কারণে এই রােগ হয়।

রােগের লক্ষণঃ

জ্বর হয়, কানে যন্ত্রণা হয়।

রােগের চিকিৎসা- 

২ চামচ করে রসুন ও পেঁয়াজের রস মিশিয়ে গরম করে ২ ফোটা
করে ৩ বার কানে দিলে কানের যন্ত্রণা কমে।

পথ্যাপথ্য- 

টক জাতীয় জিনিস ছাড়া সব খাবেন।

কান পাকাঃ

রােগের কারণ-

 কানে পানি ঢুকে, গেলে এই রােগ হয়।

রােগের লক্ষণ- 

কান থেকে পানির মত দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয় এবং কানে যন্ত্রণা হয়

রােগের চিকিৎসা-

 রসুনের রস গরম করে কানে দিলে কান পাকা ভালাে হবে। যতদিন
সারে তত দিন দিতে হবে।

দাঁতের যন্ত্রণাঃ

রােগের কারণ- 

দাঁত যদি অপরিষ্কার থাকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগে, পেটের গােলমাল হয়,দাঁতে পােকা লাগে তবে দাঁতের যন্ত্রণা হয় ।

রােগের লক্ষণ- 

মাড়ি ফুলে ওঠে, অনবরত রি রি করতে থাকে।

রােগের চিকিৎসা- 

১৫০ গ্রাম নারকেল পাতা, ১০০ গ্রাম পেপে পাতা, ১০০ গ্রাম ভেরেন্ডা পাতা, ১০ গ্রাম মতিহারি তামাক রােদে ভালাে করে শুকিয়ে পুড়িয়ে তার ছাই
ন্যাকড়ায় হেঁকে নিয়ে তার ভিতর ১০ গ্রাম মেন্থল গুড়াে, ১০ গ্রাম ফিটকিরির গুড়ো ও ৫ গ্রাম কপূর মিশিয়ে একটা শিশিতে ভরে রাখুন। রােজ অন্ততঃ একবার করে মাস দুয়েক ঐ ছাই দিয়ে দাঁত মাজুন। দাঁতের যন্ত্রণা কমবে দাঁত মজবুত হবে।

পথ্যাপথ্যঃ

নরম ও তরল জাতীয় খাদ্য খাবেন।


জিভে ও মুখে ঘাঃ

রােগের কারণ-

 ভিটামিন বি-এর অভাব এবং পেটের গােলমালের জন্যই জিভে ও মুখে ঘা হয়।

= রােগের লক্ষণ- 

ঝাল জাতীয় জিনিস খেলে বা গরম খেলে জিভ জ্বালা করে, ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে।

 রােগের চিকিৎসা- 

গরম পানির ভিতর ফিটকিরি, কপূর ও লবণ মিশিয়ে সকালে দুপুরে ও রাতে খাবার পর মুখ কুলকুচি করুন। ৭ দিনে জিভ ও মুখের ঘা সারবে।

পথ্যাপথ্য- 

ভিটামিন ‘বি’ যাতে বেশি আছে সেই খাদ্য খাবেন।

নিউমোনিয়াঃ

রােগের কারণ- 

ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠাণ্ডা লাগা, হঠাৎ ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নিউমোনিয়া হয়।

রােগের লক্ষণ- 

জ্বর হয়, শ্বাস হয়, বুকে ব্যথা হয়, শুকনাে কাশি হয়, পরে রক্তমাখা কফ ওঠে, মাথায় যন্ত্রণা হয়, খুব তৃষ্ণা হয়।

হার্নিয়াঃ

রােগের কারণ- 

বার্ধক্যে শরীর শিথিল হলে, মল মূত্রের সময় বেশি কোথ দিলে, পেটে বেশি চাপ পড়লে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, অধিক পরিশ্রম করলে, ভারী জিনিস তুললে এই
রােগ হয়।

রােগের লক্ষণ-

 জ্বর, বমি, হেচকি, পেটফোলা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়, এই রােগে পেটের নাড়ি, কুঁচকি অণ্ডকোষে টান পড়ে।

রােগের চিকিৎসা-

 রােগীকে কটি বন্ধনী ব্যবহার করতে হবে। আর রােগীকে চিৎ করে শুইয়ে পা দুটো উঁচু করে ধরে অন্ত্রকে জিনের জায়গায় ঢুকিয়ে দিয়ে ব্যথার জায়গায়
গরম পানির সেঁক দিলেও উপকার হয়।

পথ্যাপথ্যঃ

হালকা পুষ্টিযুক্ত খাদ্য খাবেন এবং রােজ মিছরির শরবত অবশ্যই খাবেন।

 প্রস্রাবে জ্বালাঃ

রােগের কারণ- 

রাতজাগা, মদ্যপান, উগ্র ঔষধ সেবন প্রভৃতি কারণে এই রােগ হয়।

রােগের লক্ষণ- 

অণ্ডকোষ লাল হয়, প্রস্রাবের সময় জ্বালা যন্ত্রণা হয়, অল্প অল্প প্রস্রাব হয়, জ্বর হয়, বমি হয়, শিড়দাঁড়ায় বেদনা হয়, কোমরে ব্যথা হয়, প্রস্রাবের সঙ্গে অনেক
সময় রক্তও পড়ে।

রােগের চিকিত্সা- 

৫ চামচ কাঁচা আমলকির রস, ২ চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে ২ চামচ মদু মিশিয়ে রােজ সকালে খালি পেটে ১৫ দিন সেবনে রােগ নিরাময় হবে।

পথ্যাপথ্য- 

সব সময় মিছরির শরবত খাবেন। রােগের প্রকোপ বেশি হলে সাবু, বার্লি,
ঘােল খাবেন, কোমরে সেঁক নেবেন, (যদি কোমরে ব্যথা থাকে)। আর বিশ্রাম করবেন।

মূত্র পাথরীঃ

রােগের কারণ- 

খাদ্য পরিপাক না হলে, পরিপেষণের ব্যাঘাত ঘটলে কিডনিতে মূত্রাশয়ে পাথর জন্মে।

 রােগের লক্ষণ- 

প্রস্রাবে কষ্ট, অল্প যন্ত্রণা দায়ক প্রস্রাব, কম প্রসাব, প্রসাব থেকে রক্ত পড়ে।

রােগের চিকিৎসা- 

প্রস্রাব দিয়ে যদি রক্ত পড়ে তবে ৪ চামচ তুলসী পাতার রসের সঙ্গে ৪ চামচ দুর্বার রস মিশিয়ে রােজ সকালে খালি পেটে ৭ দিন খাবেন। এমনিতে ৪ চামচ
পাথর কুচি পাতার রস খালি পেটে ৭ দিন খেলে ভালাে হয়।

 কিডনির পাথর নাশের সহজ উপায়ঃ

 রােগের কারণ- 

প্রসাবের বাঁধা, পেট ও পিঠে ব্যথা হয়।

রােগের লক্ষণ- 

এরূপ হলে আন্ট্রাস্নোগ্রাফি করান। আর বেশি করে পালংশাক, কলা ও
তরমুজের সাদা অংশের শরবত করে খান। 

আরো পড়ুন 




লেখকঃA.K


2 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন