ঘন চাপ দাড়ি আপনাকে যেমন হ্যান্ডসাম লুক দেয় তার পাশাপাশি আপনার পার্সোনালিটিকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দারুন অ্যাট্রাক্টিভ করে তোলে এতে কোন সন্দেহ নেই যেকোনো গ্রুপের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ঘন চাপ দাড়ি আছে সে বাকিতে তুলনায় অনেক বেশি অ্যাট্রাক্টিভ এবং সম্মানের পাত্র হয়ে থাকে।
চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
আমরা চাপ দাড়ি গজানোর কিছু টিপস নিয়ে কথা বলবো, জানি আমি তো মেনে চললে কিছুদিনের মধ্যেই চাপ দাড়ি গজাবে
মুখে চাপ দাড়ি গজাতে আমলকির তেল
আমলকিতে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনি চাইলে চুলের বৃদ্ধি, চুল ঘন, লম্বা ও মজবুত করতে আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আমলকি প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে নারীরা মাথার চুলের যত্নে আমলকি তেল ব্যবহার করেছেন।আমলকীর তেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমলকীর তেল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ক্লিনজার দিয়ে মুখে চাপ দাড়ি গজানোর উপায়
ক্লিনজার দিনে অন্তত ২বার মুখে দিয়ে ধুতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে মুখের ত্বক পরিষ্কার হবে পাশাপাশি আপনার দাড়ির বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলবে।
ভালো ঘুম
দ্রুত মুখে চাপ দাড়ি গজানোর জন্য রাতে ভালো ঘুম হওয়া জরুরি। রাতে গভীর ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে।এমন কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যা আপনার মুখে দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। সে জন্য নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ, ই, সি এবং ই-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
বায়োটিন যুক্ত খাবার তালিকা
বায়োটিন যুক্ত খাবার চুল গজাতে ভালো কাজ করে। যেসব খাবারে বায়োটি যুক্ত থাকে তা হলো-
কাঠবাদাম
চিনেবাদাম
আখরোট
সূর্যমুখী ফুলের বীজ
তিসির মতো খাবার বায়োটিনে সমৃদ্ধ থাকে
প্রতি দিন ১ মুঠো বাদাম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োটিন যোগায়। এসব খাবার মূলত আপনার মাথার চুল বা দাড়ি গজাতে কাজে দেবে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
মাংস, ডিম, কলিজা, দুধ ইত্যাদি। এছাড়াও উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হতে পারে যেমন, ডাল, শাকসবজি, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি। এগুলো খাবার প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। তাহলে দেখবেন আপনার মুখে দাড়ি দ্রুত গজাবে।
দাড়ি কাটা
অনেকে তাড়াতাড়ি দাড়ি কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। অনেকে ধারণা অনুযায়ী বার বার দাড়ি কাটলে দাড়ি ঘন হয়। আসলে এমনটি কিন্তু নয়। শুরুর দিকে দাড়ি যতটা বেড়ে যায় যাক। বাড়তে দিন। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পরে ছাঁটুন।
মুখের যত্ন নিন
ভাল করে ঘষে ত্বকের উপর থেকে মৃত কোষ দূর করার চেষ্টা করুন। এর ফলে নতুন দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। অন্তত সকালে ও সন্ধ্যায় ১ বার করে গরম পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ক্লিন করুন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
সর্বশেষ আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ আপনার মুখে খুব দ্রুত দাড়ি গজাবে।