অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকার গুলো না জানলেই নয়

অল্ল বয়সে বিয়ে করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অল্প বয়সে বিয়ে করলে বরকত পাওয়া যায়।দেরি করে বিয়েতে কোন সুখ নাই। অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকার 

অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকার, ফজিলত


আজকে আমরা জানবো
  • অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকার 
  • অল্প বয়সে বিয়ে করার ফজিলত 
  • বিয়ে করার ফজিলত 

এই সমাজ তোমাকে ভালকিছু দিতে চায়না

বরং তোমাকে পাপের সাগরে ডুবাতে চায়

এইভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের চরিত্র

পারছিনা যৌবন কে পবিত্র রাখতে


কারণ হচ্ছে যৌবন এক ধরণের ক্ষুদা।

ক্ষুদা লাগলে যেমন খাবারের দরকার হয়

ঠিক তেমন যৌবনের ক্ষুদা লাগলে বউ দরকার হয়।


কিন্তু সমাজ বলছে আগে প্রতিষ্ঠিত হও।

তারপর বিয়ের পিড়িতে বসো।


অতচ এই আয়াতে আল্লাহ বলেন :

وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

বিয়ে করো,তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি

আল্লাহর......!!!!!!অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। আল্লাহ বলেন ধনী হতে চাও বিয়ে করো।


আবার রাসুল (সা.) বলেছেন, ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ  তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়। 

১। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী, 


২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী 

সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়

 

৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।


হাদিসটি পাবেন


(তিরমিজি-১৬৫৫, নাসায়ি-৩২১৮, ৩১২০, সহিহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০, বায়হাকি, সুনানুল 


অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু

সময় পাওয়া যায়।কেন এতো বিয়ে করতে দেরি

করছেন।আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন।

আল্লাহ তোমাকে বড়লোক বানিয়ে দেবেন তার

ওয়াদা দিয়েছেন।

শুধু খামাখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুণ......

যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল

অফার টাকে গ্রহণ করুণ।

বিয়ে করুণ


বিয়ে করলে যে উপকারিতা পাবেন তা হলো


১। লজ্জা স্থানের হেফাজত হয়


২। বিবাহ চক্ষু নিচু করে


৩।  তাড়াতাড়ি ধনি হওয়া যায়।


৪।  ইমান পরিপূর্ণ হয়


৫। অসুস্থতা দূর হয়।


৬। ইবাদতে মজা পাওয়া যায়।


৭। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।


৮। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।

এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবেন

যেনা করতে গিয়েও তা পাবেন না।


৯। মেজাজ ঠান্ডা থাকে।মাথা কখনো হট হবেনা।


১০। যৌবনের ক্ষুদা নিবারণ হয়।


আরো অনেক উপকারিতা আছে।


খাবার না পেলে যখন ক্ষুদার যন্ত্রনায় হারাম

ভক্ষণ করে ফেলে।ঠিক সেই রকম বউ না থাকলে যৌবনের ক্ষুদার তাড়নায় অনেকে লজ্জা স্থান দিয়ে পর নারীর সাথে যিনা করে ফেলে।


বিয়েকে সহজ করুণ,দেখবেন সমাজ থেকে

অনেক জেনা ব্যাবিচার কমে যাবে।


ছেলেমেয়েদের অভিবাবকদের বলি অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে বিয়ে করান।

সরকারি চাকরি বাদ দেন,আগে দেখুন ছেলে মানুষ কিনা।যদি মানুষ হয়, তার সাথে বিয়ে দেন।



কারণ একটা মেয়ে কখনো খাবার অভাবে

মারা যায়না।মারা যায়তো জানোয়ার গুলোর অত্যাচারে।

তাই মেয়ের বাবাদের বলছি বিষয়টি বিবেচনায় নেন।


ছেলের বাবাদের বলছি

আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন ধনী বানিয়ে দেবে

তাই ছেলেকে বিয়ে করাণ,,, খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে আপনার ছেলে।


আল্লাহ তায়া’লা আমাদের  সবাই কে বুঝার

 তৌফিক দান করুণ( আমিন)


আরও পড়ুন

আদর্শ স্ত্রীর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য | একজন আদর্শ স্ত্রীর বৈশিষ্ট্য

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব ও ফজিলত


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন