রিবন্ডিং চুলের যত্ন নিবেন যেভাবে

আমি রিবন্ডিং করি,বেশ ভালো পরিমাণ টাকা খরচ করে।এই চুল মেইনটেইন করাও যে ভালো পরিমাণ যন্ত্রণা এ জেনেই রিবন্ডিং করি।যদি এই যন্ত্রণা স্বীকার করার ইচ্ছা থাকে,তাহলেই করুন,নচেত চুল এবং আপনার টাকা দুটোই জলে যাবে। হেয়ার রিবন্ডিং কি? এর সুবিধা ও অসুবিধা সমুহ জেনে নিন


রিবন্ডিং চুলের যত্ন নিবেন যেভাবে



রিবন্ডিং চুলের যত্ন নিবেন যেভাবে


১)রিবন্ডিং করার সময় ও এক মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব ভালো এক্সপার্ট কোন দোকান থেকে করবেন,কম দামে অনভিজ্ঞ হাতে করতে গেলে অনেক সময়ই মানুষকে বিপদে পড়তে হয়।এই স্থায়ী একটা ট্রিটমেন্ট,নিজের ভুল চয়েসের জন্য খারাপ কোন জিনিস চুলের সাথে স্থায়ীভাবে করার মানে হয় না।


২)রিবন্ডিং করার সময় লক্ষ্য রাখবেন,পার্লারের ব্যক্তি যেন চুলের গোড়ায় প্রোডাক্ট না লাগায়,এতে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়।যদিও এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার বলার কারণে আমার পার্লারের লোকজনের কাছ থেকে মুখঝামটা খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।


আপনার চুলের জন্য রিবন্ডিং ভাল হবে কিনা জেনে নিন


৩)রিবন্ডিং করা চুল ৩ দিন পর্যন্ত কোন লিকুইড এর সংস্পর্শে লাগানো যাবে না।পার্লারের লোকজনই এ বিষয়ে ভালো বুঝিয়ে দিবে,৩ দিন চুল ভাজ পর্যন্ত করা যাবে না।ঘুমানোর সময়ও সাবধানে ঘুমাতে হবে।


৪)পরবর্তীতে চুলে যে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ইউজ করবেন,তা সালফেট ফ্রি হলে চুল ভালো থাকবে।অন্তত আমার তাই থেকেছে।খামাখা দামী শ্যাম্পুতে টাকা খরচ না করে দেখবেন শ্যাম্পুটা সালফেট ফ্রি নাকি।


৫)অনেকে বলে রিবন্ডেড চুলে তেল দিতে হয় না,আমি এ বিষয়ে জানতাম না।৩ দিন পরপর মাথায় তেল দিয়েছি(এখনও দেই),তালুতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে,আগাতে ভালোভাবে তেল লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতাম,সকালে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার দিয়ে দিতাম।


৬)১০/১৫ দিন পরপর(ব্যস্ত থাকলে ২০ দিন পরপর) চুলে মাস্ক লাগাতাম।মানুষজন বলে ৭ দিন পরপর লাগাতে,আমার এত অবসর ছিল না তাই লাগাতে পারতাম না।ইউটিউবে ভালো ভালো মাস্কের অনেক টিউটোরিয়াল আছে দেখতে পারেন,আমি যদিও বিদেশের একটা মাস্ক লাগাই,DIY যেকোনো মাস্কই ভালো কাজ করে।


৭)শ্যাম্পু, কন্ডিশনার দেওয়ার পর সিরাম ব্যবহার করতাম,এতে চুলে জট হতো না।বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না,রিবন্ডিং এর পরে ৪/৫ মাস আমার চুলে কোন জট হয় নি,মানুষজন জট পাকানোর জন্য বহু প্যাচানোর পরেও।


৮)ভিজা চুল কখনোই আচড়াবেন না,এতে চুল পড়বে।চুলের ওপর জোর-জবরদস্তি করবেন না,এতে শেপ নষ্ট হতে পারে।


৯)আমি ৬ মাসের মতো কখনো বেণী করি নি,কারণ বেণির দরকার পড়ত না।তবে প্রথম ১ মাস যতটা সম্ভব চুল খোলা যায় ভালো।কারণ,প্রথম ১ মাস আমি যেভাবে চুল রাখব,পরবর্তী সময়ে চুল সেমনই থাকবে।আমার রিবন্ডিং ৫/৬ দিন পর সামনের দিকের কিছু বাকিয়ে রেখেছিলাম কিছুক্ষণের জন্য,সেটা বাঁকায় হয়ে গিয়েছে।


১০)তবে যেমন যত্নই করুন না কেন,৬ মাস পরে চুল পরা শুরু করবে।এই ৬ মাসে চুল না পড়া দেখতে দেখতে এমন অভ্যাস হয়েছিল যে সামান্য চুল পড়া দেখলেই আতকে উঠতাম।যাই হোক,তখন চুলের স্পেশাল খাতির যত্ন করা শুরু করলাম,আরেকটা আলাদা তেল লাগানো শুরু করেছিলাম।তারপর আর চুল পড়ার সমস্যা হয় নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন