তায়াম্মুমের ফরয সমূহ:
তায়াল্গুমের মধ্যে ফরজ কাজ ৩টি। যথা—
১। নিয়ত করা।
২। ওজুতে মুখমণ্ডল যেই পরিমাণ ধুইতে হয়, তায়াম্মুমে ঠিক ততটুকু স্থান মাসেহ করা। উহার কম জায়গা মাসেহ করিলে তায়াম্মুম শুদ্ধ হইবে না।
৩। উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা। সামান্য স্থানও যদি মাসেহ থেকে বাদ পড়ে, তায়াম্মুম শুদ্ধ হইবে না।
তায়াম্মুমের দোয়া
তায়াম্মুম করার সুন্নত তরীকা
প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়ে মনে মনে নিয়ত করে উভয় হাতের তালু পবিত্র মাটি জাতীয় বস্তুর উপর রেখে একটু আগে পিছে ঘর্ষণ করবে। পরে হাত দুটি একটু ঝেড়ে ফেলবে এবং ঐ মাটিমাখা হস্ত দ্বারা সমগ্র মুখমণ্ডল একবার এমনভাবে মাসেহ করবে যেন কোন অংশ বাকী না থাকে।
অযুর মত তায়াম্মুমেও একইভাবে মুখ মাসেহ করিতে হয়। তৎপর একবার হস্তদ্বয় মাটিতে রেখে একটু ঝোড়ে বাম হাতের তালুর কতকাংশ দ্বারা ডান হাতের এক পাশ কনুইয়ের উপর পর্যন্ত মুছবে।
পরে বৃদ্ধা ও তর্জনী অঙ্গুলির ফাঁকে যদি ধুলা লেগে না থাকে তবে মাটিতে আর একবার হাত রেখে দুই হাতের অঙ্গুলিসমূহ পরস্পর খেলাল করবে। হাতে আংটি কিংবা চুড়ি থাকলে তা খুলে কিংবা নেড়েচেড়ে নিবে।
তায়াম্মুম করার নিয়ম
তায়াম্মুম করার সময় মাটিতে হাত রাখার নিয়মঃ
আঙ্গুলের মধ্যে ফাঁক রেখে মাটিতে হাত রেখে একবার সামনের দিকে একবার পিছনের দিকে নেয়া। অতঃপর হাত তুলে নিয়ে এমন ভাবে ঝাড়বে, যেন লেগে থাকা ধুলো ঝরে পড়ে যায়। (আলমগীরী)
তায়াম্মুম করার সময় মুখমণ্ডল মাসেহ করার নিয়মঃ
কপালে চুল উঠার স্থান থেকে মাসেহ শুরু করে থুতনীর নীচ পর্যন্ত টেনে এনে শেষ করবে। নীচের দিকে আনার সময় দুই কানের লতী পর্যন্ত একসাথে মাসেহ করবে। মাসেহ করার সময় উভয় হাতের তালু ও আঙ্গুলের পেট চেহারার সাথে মিলিয়ে রাখবে, যাতে কোথাও মাসেহ বাকী না থাকে।
তায়াম্মুম করার সময় কনুইসহ হাত মাসেহ করার নিয়মঃ
মাসয়ালা ঃ বাম হাতের চার আঙ্গুলের পেট (বৃদ্ধ আঙ্গুল ছাড়া) ডান হাতের চার আঙ্গুলের পিঠে রাখবে। তারপর ডান হাতের পিঠের উপর দিয়ে কনুইর দিকে টেনে নিয়ে যাবে। অতঃপর বাম হাতকে উল্টে বাম হাতের তালু এবং বৃদ্ধা আঙ্গুলের পেট দিয়ে ডান হাতের পেটের দিক থেকে হাতের আঙ্গুলের দিকে এমনভাবে টেনে নিয়ে যাবে যেন বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের পেট ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের পিঠের উপর দিয়ে চলে যায়। উল্লেখিতভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাত মাসেহ করবে। (তাহতাবী আলমগীরী)
মাসেহ করার সময় হাতের আংটি, চুড়ি ইত্যাদিকে তার স্থান থেকে সরিয়ে এমন ভাবে হাত মাসেহ করবে, যেন সব স্থানে মাসেহ করা হয়। হাতের আংটি খুলে ফেলা উচিৎ। যদি আংটির নীচে ঐ স্থানে মাসেহ না করা হয় তাহলে তাইয়াম্মুম শুদ্ধ হবে না। (তাহতাবী, আলমগীরী)
তাইয়াম্মুম অযূর ন্যায়, তাই অযূর মধ্যে মুখ ও হাত ধৌত করার যে দোআ পাঠ করা হয়, এবং অযূর শেষে যে সব দোআ পড়া হয়, তাইয়াম্মুমের বেলায়ও সেগুলোই পড়তে হবে। (কিতাবুল আযকার)
শিক্ষনীয় পোষ্ট
উত্তরমুছুন