মোটা হওয়ার সহজ উপায়

 
মোটা হওয়ার সহজ উপায়
Waight gain

মোটা হওয়ার জন্য করণীয়ঃ

 মোটা হতে চায় এমন লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে নেহায়েত কম নয়। এর বিশাল একটা অংশ আবার অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের। তবে আমি অনেক বড়লোক ঘরের ছেলে-মেয়েদেরও দেখেছি যারা অত্যন্ত স্বাস্থ্যহীন। এর কারণ কি?

 এ বিষয়ে আমার ধারণা যদিও সবার সাথে মিলবে না,তবুও আমি মনে করি জীবন এবং লাইফস্টাইলের প্রতি বিরক্তি এবং অতিরিক্ত টেনশন মানুষকে স্বাস্থ্যবান হওয়ার পথে বাধা দেয়। তাই যারা শুটকো শরীর নিয়ে খুব বিপাকে আছেন,

তাদের জন্য এই টিপস দেয়া হল। সকাল হতে রাত পর্যন্ত এই টিপস অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ, আশা করি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সফলতা পাওয়া যাবে। 

মোটা হওয়ার টিপসঃ 

সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম হতে উঠুন। রাতে ভাল ঘুম না হলেও উঠা উচিত। সকালে তাড়াতাড়ি উঠা মানে নিজেকে সারাদিনের জন্য প্রফুল্ল চিত্তে রাখা। প্রথমে একগ্লাস পানি খেয়ে হাল্কা ব্যায়াম করে আসুন। 

যদি শুকনো দেহে কুলোয়,তবে বার ইঞ্চি দুটো ইট দিয়ে প্রথমদিন থেকেই হাতের ব্যায়াম করতে থাকুন। যত বেশী পারবেন,তত আপনার মাসল উন্নত হবে। ব্যায়াম করে এসে পুনরায় এক গ্লাস পানি খান।

 সকালের নাস্তা হয়তো দেরীতে হবে,কিংবা আপনাকে হয়তো এমন কিছু খেতে দেওয়া হবে যা আপনার রুচিতেই আসে না। নো প্রবলেম, খুজে দেখুন গত রাতের বাসী ভাত আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে একটি পেয়াজ,দুটো পোড়া মরিচ আর এক চামচ আয়োডিনযুক্ত গলগন্ড প্রতিরোধকারী লবণ নিন।

 তারপর পানি দিয়ে পান্তা ভাত তৈরি করে খান। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি যত বড় খাদকই হন না কেন আপনার পেট এই পান্তা ভাতের মাধ্যমে ভরে যেতে বাধ্য। এরপর অনেকে আবার দুপুরের আগে কোন কিছু না খেয়েই থাকেন। 

কিন্তু আর না, এখন থেকে অবশ্যই খেতে হবে। ভাবছেন কি খাবেন? দুপুরের জন্য যে ভাত রান্না হয়েছে তার মালসার মধ্যে দেখুন অত্যন্ত পুষ্টিকর ভাতের মাড় বা ফেন, যা প্রায় সময়ই গরুকে খাওয়ানো হয়, (ইহা আবার বাতের ব্যাধির জন্য অত্যন্ত উপকারীও বটে) সবটুকু নিন। 

তারপর পরিমাণমত আয়োডিনযুক্ত লবণ নিয়ে চামচ দিয়ে ভাল করে নেড়ে খেয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে লবণের পরিমাণ বেশী না হয়,তাহলে অতিরিক্ত লবণ কটার জন্য খেতে পারবেন না।

 সুন্দরভাবে নাড়াচাড়ার পর চামচ দিয়ে খেয়ে দেখবেন অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। খাওয়ার পর আপনার মনে হবে আজ সারাদিন না খেলেও আপনার পেট ভরা থাকবে। এই মনে হওয়াটাকে পাত্তা দিবেন না।

 দুপুরের ভাত যাতে ঠিকমত খেতে পারেন তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। পকেটে কিছু টাকা থাকলে দোকান হতে চা খেয়ে আসুন। আর অবশ্যই একটা লম্বা হাটা দিয়ে আসবেন।

 তাহলে পেটটা খালি হওয়া শুরু হবে। এরপর বাসায় এসে যেই তরকারীই থাকুক না কেন আপনার নারিকেল তেলের শিশি হতে বোতলের মুখে যে কর্ক রয়েছে তার পুরোটা ভর্তি করে সেই তেল মিশিয়ে ভাতের সাথে খেয়ে ফেলুন। 

এতে আপনার ভুরি তৈরি করার জন্য পেট অন্যধরণের এক উৎসাহ পাবে। ভাত খাওয়া শেষে বিকেলের আগ পর্যন্ত একটানা ঘুম দিবেন। দেখবেন ঘুম থেকে উঠার পর শরীরটা একদম ঝরঝরে মনে হচ্ছে।

 বিকেলে খাওয়ার কিছু নেই এই ভেবে আপনার মন খারাপ হচ্ছে? নো টেনশন, যেসব বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অনেকদিন ধরে দেখা নেই তাদের বাসায় হাজির হয়ে যান। কিংবা পরিচিত বড় ভাই অথবা ছোট ভাই হলেও সমস্যা নেই। 

দেখবেন বেশ কয়েকদিন পর আপনাকে দেখে তারা অন্যধরণের এক অভ্যর্থনা জানাবেন। সেই সাথে সময় বুঝে বিকেলে এসেছেন বলে হাল্কা নাস্তা পানি এবং চা প্রদানে সচেষ্ট হবেন তাঁরা। এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান। 

সবাই ভদ্রতা করে বলে “থাক,এসবের কি দরকার ছিল!” আপনি এসব না বলে বলুন যে খিদেয় আপনার পেট চো চো করছে,দেখবেন আপনার জন্য কিছু বেশী খাদ্য-খানার ব্যবস্থা করা হবে। সব খাবার আপনি আবার নিঃশ্বব্দে খেয়ে ফেলবেন না যেন।

 স্বাভাবিকভাবে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যান। পাশাপাশি সব খাবার আপনার পেটে চালান করুন। তারপর আরেকদিন আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেয় নিন। আর রাতের খাবার তো আপনার বাসায় অপেক্ষা করছে। 

সারাদিনের ঘোরাঘুরি এবং ছুটন্ত চলন্ত ধান্দা শেষে আপনার রাতে হয়তো বেশী ক্ষিদা লাগবে। আহার করুন যতটুকু আপনার পেটে সংকুলান হয়। আপনি এভাবে তিন/চারদিন কাটালে খাবারের প্রতি আপনার অন্যরকম এক আগ্রহ প্রকাশ পাবে।

 খাদ্যের স্বাদ আপনি হাড়ে-পিঠে টের পাবেন। প্রত্যেকদিন এই রুটিন অনুযায়ী চলবেন মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত। ইনশাআল্লাহ, এরপর আপনি নিজেকে চিনতে পারবেন না। মনে হবে আপনি গরুর দুধের খামার হতে উঠে এসেছেন।

মোটা হওয়ার সহজ উপায়
waight gain


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন