ইবাদত কাকে বলে
আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কালাম মাজীদে ইরশাদ করেছেন—
وما خلقت الجن والإنس إلا ليعبدون
উচ্চারণ ঃ ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া'বুদন । অর্থ ঃ "আল্লাহ্ তা'আলা জিনজাতি ও মানবজাতিকে একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন।” একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলার যাবতীয় আদেশ- নিষেধ, হুকুম-আহকাম পালন করে চলা এবং তাঁর অধিকতর সন্তুষ্টি লাভের জন্য অতিরিক্ত নেক কাজ করা কিংবা নফল ইবাদত করা ইবাদতের ভিতরে গণ্য। 'ইবাদত' শব্দের অর্থ- বন্দেগি করা, গোলামী করা, দাসত্ব স্বীকার করা। মানবজাতি আল্লাহ তা'আলার বান্দা বা গোলাম। যে সমস্ত নেক কাজ করলে মানবজাতি আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি ও তাঁর রহমত লাভ করতে পারে, তা-ই ইবাদত।
ইবাদত কত প্রকার
ইবাদতের প্রকারভেদ
ইবাদত তিন প্রকার ঃ
যথা- (১) ইবাদতে বদনী,
(২) ইবাদতে মালী,
(৩) ইবাদতে রূহানী।
এ তিন প্রকারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো—
১. ইবাদতে বদনী ঃ
অর্থাৎ শরীর কিংবা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা যে সমস্ত ইবাদত সম্পাদিত হয়, তাকেই 'ইবাদতে বদনী' বা শারীরিক ইবাদত বলা হয়। যেমন- নামাজ পড়া, রোজা রাখা, অজু করা, কষ্ট করে হেঁটে মসজিদে যেয়ে জামাতে শরিক হয়ে নামাজ পড়া, স্ত্রী সন্তান-সন্ততিদের জন্য ভরণ-পোষণের নিয়তে হালাল পথে শরীরকে খাটিয়ে রোজগার বা কামাই করা, কর করে। পথ চলে আলিমে হক্কানী বুজুর্গানে-দীনের খেদমতে উপস্থিত হয়ে ফায়েজ হাসেল করা, দীন-ইসলামের ওয়াজ মাহফিলে শরিক হওয়া ইত্যাদি ইবাদতকেই শারীরিক ইবাদত বা ইবাদতে বদনী বলা হয়।
২. ইবাদতে মালী ঃ
অর্থাৎ আর্থিক ইবাদত। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত দ্বারা আল্লাহ্র রাস্তায় ব্যয় করে যে ইবাদত হয় তাকে ইবাদতে মালী' বা আর্থিক ইবাদত বলা হয়। যেমন- ফেতরা, যাকাত, সদকা-খয়রাত ইত্যাদি।
৩. ইবাদেত রূহানী ঃ
অর্থাৎ আত্মার ইবাদত। আত্মার সাহায্যে যে সমস্ত ইবাদত করা হয়। তাকে ‘ইবাদতে রূহানী' বা আত্মার ইবাদত বলা হয়। যেমন- আল্লাহ্ তা'আলার পবিত্র সত্তা সম্পর্কে মোরাকাবা-মোশাহাদা করা। মনে মনে আল্লাহর নামের জিকির করা, অন্তরে অন্তরে সারা জাহানের সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে চিন্তা বা গবেষণা করা ইত্যাদি।
ইবাদত কাকে বলে,ইবাদত কত প্রকার,ইবাদত,ইবাদত শব্দের অর্থ কি