কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

কিডনি রোগ থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়


কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা


কিডনি রোগ থেকে বাঁচার উপায় রক্তচাপ/ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকিয়ে না রাখা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ধূমপান/এলকোহল বর্জন করা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করা নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা যেসব খাবারে কিডনি ভালো থাকে প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস (২ লিটার) বিশুদ্ধ পানি পান করা।


 তবে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে অধিক পানি পান করা প্রয়োজন। প্রচুর ফল ও সবজি : দানা বা বীজ জাতীয় খাদ্য খান যেমন ব্রেড, নুডুলস, বাদাম ইত্যাদি। সপ্তাহে অন্তত একটি কচি ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত চারটি থানকুচি পাতা খেতে হবে। শশা, তরমুজ, লাউ, বাঙ্গি, কমলালেবু, লেবু, মাল্টা, ডালিম, বীট, গাজর, আখের রস, বার্লি, পিয়াজ, সাজনা ইত্যাদি পরিমাণ মতো খেতে হবে।



 কিডনি রোগীর অবশ্য বর্জনীয় খাদ্যসমূহ : 


চকোলেট, চকোলেট দুধ, পনির, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগীর মাংস, সস, পিচস, ব্রকোলি, বাদাম, মাশরুম, মিষ্টি কুমড়া, পালংশাক, টমেটো, কলা, খেজুর ও আচার। 


গোক্ষুর : গবেষণায় দেখা গেছে যাদের প্রসাবের পরিমাণ কমে যায় এবং হাত পায়ে পানি জমে তারা নিয়মিত গোক্ষুর চূর্ণ ৩ গ্রাম মাত্রায় সেবন মূত্রের পরিমাণ ঠিক হয়ে যাবে এবং শরীরে জমে থাকা পানি বা ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। রক্ত চন্দন: রক্ত চন্দন কিডনি রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। রক্ত চন্দন ডাই ডাইরুটিক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বন্ধ করে এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।



জুনিপার বেরিস: জুনিপার বেরি মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে, কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। 



পাথরকুচি: গবেষণায় দেখা গেছে পাথরকুচি পাতার নির্যাস কিডনি পাথরী ধ্বংস করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 


 যা যা করবেন:


১। এক গ্লাস পানি একবারে ঢকঢক করে পান না করে মুখ ভরে একঢোক পানি আস্তে আস্তে পান করতে হবে। একবারে পান করলে কিডনির উপর প্রবল চাপ পড়ে। 



২। সূর্যের আলো সরাসরি শরীরে লাগালে চামড়ার কোষের মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ক্রিয়ার দ্বারা ভিটামিন ডি তৈরি করে। ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাঁড়ের ক্ষয় পূরণ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং শরীরে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে যা কিডনির জন্য অতীব প্রয়োজন। সারাদিন মাত্র ১৫ মিনিট রোদে থাকলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন শরীরে তৈরি হবে এবং কিডনি অতিরিক্ত কাজ করা থেকে রেহাই পাবে। ভিটামিন ডি এর মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় কমে গেলে কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সহ অনেক রোগ হতে পারে। 



৩। সবজি এবং ফলের রস কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে এবং রোগাগ্রস্থ হলে ফলের রস পান করলে শরীর ভালো হয়ে যায়। ফলের রসের মধ্যে তরমুজ, জাম, করমচা, সেলারি পারসলে, শসা, গাজর, বিট উল্লেখযোগ্য। ফলের রস খাবার জন্য কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই। যখন খুশি তখনই ফল বা সবজি খাওয়া যেতে পারে। তবে ভরাপেটে খাওয়া যাবে না। ফল বা সবজির রসে ৫০ ভাগ রস এবং ৫০ ভাগ পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। পটাসিয়ামের পরিমাণ রক্তে যদি বেশি থাকে তবে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল সীমিত মাত্রায় খেতে হবে। 



৪। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম, আকুপ্রেসার অথবা জোরে জোরে হাঁটা শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। ব্যায়াম ও আকুপ্রেসার করলে শুধু কিডনিই ভালো থাকে না অন্য অনেক উপকার পাওয়া যায় যেমন: রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কালেস্টরেল কমায়। রক্তের সঞ্চালন গতি বাড়ে। শরীরের পানিধারণ ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। টেনশনমুক্ত এবং মেজাজ ফুরফুরে থাকে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 


কর্মঠ থাকুন:আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন। এজন্য নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং করা বা সাঁতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করুন। কর্মঠ ও সতেজ শরীরে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি খুব কম থাকে। ব্যায়াম বলতে শুধু হাঁটা না, আরও অনেক রকম ব্যায়াম করা যায় । যেমন: সাঁতার, ধীরলয়ে দৌড়ান যে-কোন খেলা। যেমন: টেনিস, ব্যাডমিন্টন, নাচা, সাইক্লিং ইত্যাদি। আর আকুপ্রেসার করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পয়েন্ট জেনে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যে কোনো ব্যায়াম করার সময় যদি আনন্দ পাওয়া যায় তবে মন এবং দেহ উভয়ে এর জন্য উপকারী হবে। শরীর ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ৪ দিন প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট মধ্যম গতিতে ব্যায়ম বা হাঁটলেই যথেষ্ট। কোনোক্রমেই এমন ব্যায়াম করা যাবে না যাতে আপনার হাপ ধরে যায় অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ঐ ধরনের কঠিন ব্যায়াম করলে কিডনি ক্রিটিনাইন বেড়ে যেতে পারে। 



৫। কিডনির কার্যক্রম বিনষ্ট হওয়ার প্রধান কারণের মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। কিডনি ভালো রাখতে অথবা কিডনি রোগ সারাতে রক্তে চিনির পরিমাণ অবশ্য অবশ্যই, নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। যেভাবেই হোক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারলে কিডনি খারাপের দিকে যেতে থাকবে। 



৬। উচ্চরক্তচাপও আরেকটি কারণ হিসাবে বিবেচিত। কিডনি দৈনিক প্রায় ১৫০-১৮০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে। রক্তের চাপ বেশি হলে কিডনির কার্যক্রম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক অথবা এলোপ্যাথিক যেটাই হোক না কেন চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। লবণ কম খান খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।



মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র এক চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করুন। অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন গরুর মাংস, শুকরের মাংস ইত্যাদি খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডুলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 



তাই প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে মাছ বা ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখুন খাবার তালিকায়। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখুন রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন। রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।



 তাই নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান। সুগার বেশি থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথা নাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়। নিয়ম না জেনে নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে আপনার অজান্তেই কিডনির বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। 



প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাবেন না মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন। কোমল পানীয় ত্যাগ করুন অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। এ ধরণের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।



 তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায় পানি খেয়ে নিন। ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। ফলে ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ী ব্যক্তি এক পর্যায়ে গিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়। কিডনীর পরীক্ষা করান উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।



 যাদের কিডনি রোগের ঝুকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। কিডনি আমাদের শরীরের দু'টি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। দেখতে অনেকটা সিমের বীজের মতো বা অনেকটা বাংলা ৫ অঙ্কের আকার। মানবদেহের পাঁজরের ঠিক নিচে পেটের পেছন দিকে মেরুদ-ের দু'পাশে দু'টি কিডনি থাকে। বাম কিডনিটি ডান কিডনি অপেক্ষা সামান্য বড় এবং কিছুটা ওপরে থাকে। 



কিডনি হলো শরীরের পরিশোধনাগার। প্রতিদিন কিডনি প্রায় ২০০ লিটার রক্ত শোধন করে দুই লিটার রেচন পদার্থ মূত্র থলিতে জমা করে, যা মূত্রাকারে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিডনি তার ছাঁকনির মাধ্যমে রক্তকে পরিশোধিত করে অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দিয়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। যদি কোনো কারণে কিডনি রক্ত থেকে সেই দূষিত পদার্থ অপসারণ করতে না পারে, তবেই শরীর নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 



=> একনজরে কিডনির ১০টি কাজ



 ১। রক্ত পরিশ্রুত করে দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়া।


 ২। শরীরে পানির সমতা বজায় রাখা।


 ৩। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। 


৪। হাড় ও মজ্জাকে সবল রাখা।


 ৫। লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য হরমোন উৎপাদন করা। 


৬। রক্তে খনিজ পদার্থগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করা। 


৭। ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য রক্ষা করা। 


৮। রক্ত থেকে ওষুধ অপসারণ করা (সেবনকৃত ওষুধ)। 


৯। রক্তে এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। 


১০। পুষ্টি পুনরুদ্ধার এবং সেগুলো পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা



 => কিডনি রোগের লক্ষণ: 


২০ শতাংশ কার্যক্ষম একটি মাত্র কিডনিই একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে সক্ষম। কিডনি রোগের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো: 



ক) ব্যথা: সাধারণত খুব মৃদু ব্যথা পেটের পেছনে মেরুদ-ের দু'পাশে এবং পেটের মাঝখানে নাভির কাছে। কিডনি পাথরের বেলায় ব্যথা তীব্র হতে পারে। 


খ) প্রায়ই মাথা ব্যথা। 


গ) বমি-বমিভাব এবং বমি করা। 


ঘ) প্রস্রাব করতে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া। 


ঙ) বারবার প্রট্রাব হওয়া। অথবা হঠাৎ প্র ট্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া। 


চ) চুলকানি/খোস-পাঁচড়া। 


ছ) ক্ষুধা না পাওয়া ও ক্লান্তিবোধ করা। 


জ) মুখ, বিশেষত চোখের নিচে, হাত, পা অথবা সর্বশরীর ফুলে যাওয়া। 


ঝ) উচ্চ রক্তচাপ ও রক্ত শূন্যতা। 



=> রোগ নির্ণয়: 


যেহেতু কিডনি রোগ অনেক প্রকার, তাই লক্ষণও ভিন্ন ভিন্ন। প্রথমাবস্থায় কিডনি রোগে প্রায়ই কোনো লক্ষণ থাকে না বা সামান্য থাকে। কখনো কখনো কোনো লক্ষণ প্রকাশের আগেই রোগীর কিডনি ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার দ্বারা কিডনির রুটিন চেকআপ জরুরি। প্রস্রাবের পরীক্ষা, রক্তের বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসাউন্ড এবং প্রয়োজনে বায়োপসি দ্বারা কিডনি রোগ নির্ণয় করা যায়। 



=> কিডনি রোগের জটিলতা: 


কিডনির রোগ মানে কিডনির কাজ ব্যাহত হওয়া। যার ফলে যে সব রোগ দেখা দিতে পারে সেগুলো হচ্ছে: ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, নেফন্সাইটিস, সংক্রামণ, পাথর হওয়া, আঘাত প্রাপ্তি ইত্যাদি। => কিডনি



রোগের প্রতিরোধ : 


ক) প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা। 


খ) নিজেকে কর্মতৎপর রাখুন। নিজস্ব পেশার কাজ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোর অভ্যাস করা। 


গ) গলায় প্রদাহ বা খোস-পাঁচড়া হলে সময় মতো ভালোভাবে চিকিৎসা করানো। 


ঘ) ধূমপান না করা। ধূমপান কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া ধূমপান কিডনিতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। 


ঙ) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। উচ্চরক্তচাপ কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্যদিকে ক্রলিক কিডনি রোগের উচ্চরক্তচাপ একটি প্রধান লক্ষণ। 


চ) ব্যথা বা বাতের ব্যথার ওষুধ একটানা বেশিদিন ব্যবহার না করা। এ জন্য ব্যথা উপশমে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 


ছ) ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। 


জ) শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। 


ঝ) কিডনি পরীক্ষা করুন যদি আপনার পরিবারে কারো কিডনি রোগের ইতিহাস থাকে, তবে আপনার কিডনি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। 



=> কিডনি রোগের চিকিৎসা:


 কোথায় যাবেন? কিডনি রোগের চিকিৎসা বেশ জটিল। কী ধরনের রোগ, প্রকৃত কারণ এবং রোগের স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসের শরণাপন্ন হয়ে ভালোভাবে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হবে। আধুনিক অ্যালোপ্যাথিতে মেডিসিন এবং ডায়ালিসিস পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়। শুরুতেই রোগ ধরা পড়া রোগী স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন। ডায়ালিসিসের মাধ্যমে রোগী অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।



 অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতেও কিডনি রোগের ভালো চিকিৎসা রয়েছে। যেমন হোমিওপ্যাথিতে কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসা রয়েছে। এজন্য এ বিষয়ে একজন বিজ্ঞ, উচ্চশিক্ষিত, প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারেন। ইউনানী, আয়ুর্বেদী ও হারবাল পদ্ধতিতেও কিডনি রোগের ভালো চিকিৎসা সম্ভব। এসব চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর একজন বিজ্ঞ চিকিৎসকই শুধু আপনাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেন। এজন্য চিকিৎসক বাছাইয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।


আরও পড়ুন 



إرسال تعليق

أحدث أقدم