কীভাবে স্মার্ট হবেন?স্মার্ট হওয়ার ৫ টি অভ্যাস

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমতুল্লাহ।
কীভাবে স্মার্ট হবেন?স্মার্ট হওয়ার ৫ টি অভ্যাস
স্মার্টনেস

আজকাল প্রায় সবাই চায় নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে।তবে নিজেকে স্মার্ট দেখাতে কিছু টিপস ফলো করুন।

কিভাবে স্মার্ট হবেনঃ

একটি কমন প্রশ্ন, কে না চায় স্মার্ট হতে? উত্তরঃ সবাই।সত্যিই মনুষ্য প্রকৃতির এই এক খেলা, সবাই স্মার্ট হতে চায়। কেউ পার্লারে সারাদিন ব্যয় করেন, কেউ সেলুনে কিংবা পা'তে সারাক্ষন বসে অবশেষে যা নিয়ে ফিরে আসেন তা হল আউটলুকিং।


আবারাে মনে করিয়ে দেই, আউটলুকিং স্মার্টনেস নয়। কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায় তার প্রথম কিছু ব্যাপার শুনলেই আপনার মনে হবে এতদিন অযথা সময় নষ্ট করে ফেলেছেন।

 তবে এখনাে আপনার সময় পুরাে শেষ হয়ে যায় নি। আপনি চাইলে এই শেষ পর্যায়ে এসেও স্মার্ট হয়ে দেখাতে পারেন। 

আজকাল প্রায় সবাই চায় নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে।তবে নিজেকে স্মার্ট এবং বুদ্ধিদীপ্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় লুকায়িত আছে কিছু ভাল অভ্যাস অযত্ব করার মধ্যে।

 কে না চয় নিজের স্মৃতিশক্তি এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে? আপনি জানেন কি এটা কি করে আয়ত্ব করা সম্ভব?স্বভাবিকভাবে হ্যা, উত্তরটা খুব সহজ।

 আপনাকে যা করতে হবে তা হলাে প্রত্যহিক জীবনে নিচের অভ্যাস গুলোকে যােগ করুন এবং ফলাফল নিজেই টের পাবেন।



স্মার্ট হওয়ার ৫ টি উপায়ঃ



1 পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান:---

ঘুম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে অতিরিক্ত ঘুম বা
কম ঘুম শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ্য মস্তিষ্কের পূর্বশর্ত।সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও
প্রখর স্মৃতিশক্তি নির্ভর করে ভালাে ঘুমের উপর।

তবে বিকালে কখনই ঘুমানাে উচিত নয়।সবার জন্য
ঘুম সমান না। এক এক জনের জন্য এই পরিমানের
তারতম্য আছেকারাে কারাে৬ ঘন্টা ঘুমানাে যথেষ্ট
আবার কারাে কারাে ৯ ঘন্টা ও লাগতে পারে।

তবে আপনার শরীর এবং মতিষ্কের জন্য যতটুকু
দরকার ঠিক ততােটুকু ঘুমানাে উচিত।তবে অনেকের
বদঅভ্যাস জনিত কারণে অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে।

এগুলাে পরিহার করে চলতে হবে। ৬-৯ ঘন্টার মধ্যেই
ঘুম হওয়া উত্তম। গবেষণায় দেকা গেছে পর্যাপ্ত ঘুমের
অভাবে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংষ হয়ে যায়।


2) আত্ম বিশ্বাসী হয়ে উঠুনঃ----

শুধুমাত্র আত্নবিশ্বাসের অভাবে আপনি আপনার
ভেতরের মানুষটিকে হারিয়ে ফেলছেন। আপনি
আপনার চারপাশে যাদের আইডল মনে করছেন।

তাদেরকে আপনার চেয়ে অনেক স্মার্ট, অনেক
ফ্যাশনেবল এবং আইডল মনে করছেন। 

আপনি মনে করছেন আপনি দেখতে অনেক বিশ্রী। অনেক কুৎসিত।এমন কেন মনে হয় জানেন? কারন তারা অনেক আত্নবিশ্বাসী, তারা আপনার মত এমন
 
সংকীর্ণতায় ভােগেন না। আপনাকে আপনার নিজ অবস্থানে অনেক আত্নবিশ্বাসী হতে হবে। আপনি কি করেন , কি পড়েন , কি পছন্দ করেন এসব মাথা থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলুন। 

এসব নিয়ে চিন্তা করার কোন মানে
হয়না। শুধুমাত্র নিজেকে ভালবাসুন এবং সব কিছু
কনফিডেন্টলি করুন। কারন আপনি যদি অনেক সস্তা

একটা ড্রেস পড়েন যা আপনার সাথে সুইটেবল না কিন্তু
আত্নবিশ্বাসী হওয়ার কারণে সে সস্তা ড্রেসটিই বেষ্ট
ওয়ান হয়ে উঠবে |

3)ব্রেইনকে দিন সঠিক পুষ্টি:----

একজন সুঠাম-সুগঠিত দেহের অধিকারী ব্যক্তি ও
অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।মানে আপনি দেখতে সুগঠিত
হলেও আপনার মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি না ও পেতে পারে।

এজন্য আমাদের দরকার সুষম খাদ্য খাওয়া দেখতে
হবে যে, মস্তিষ্ক সুষম খাদ্য আমাদের প্রয়ােজন, কিন্তু
এর মানে এই নয় যে আপনার ব্রেইনও সঠিক পুষ্টি
পাচ্ছে।

আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার মানসিক শক্তি
বিকশিত করার জন্য আপনি সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন?
আপনার হয়তাে সুঠাম-সুগঠিত দেহ থাকতে পারে,

কিন্তু তারপরও আপনার ব্রেইনে পুষ্টির অভাব হতে
পারে। খেয়াল রাখুস যে ব্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি
উপাদান ওমেগা-৩ যেমন কাঠ বাদাম, সয়াবিন, মাছের
তেল ইত্যাদি খাদ্য খাওয়া হচ্ছে কিনা।

আপনি কি যথেষ্ট পরিমাণ পাচ্ছেন? বিভ্রান্ত হবার কিছু
নেই, আমি জানতে চাচ্ছি আপনি কি সেইসব খাবার
খাচ্ছেন যেগুলােতে ওমেগা-৩ আছে যেমন, ইত্যাদি।

তবে ফ্যাট এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য যেমন, ফাস্ট
ফুড, ভাজা-পােড়া ইত্যাদি বর্জন করুন। কারণ এইসব
খাদ্য ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।


4) বই পড়ুনঃ 

স্মার্ট হওয়ার জন্য এটার খুব বেশি
ইম্পর্টেন্ট আছে তা নয়। কিন্তু ভাল ও কোয়ালিটি বই
পড়া শিখার ও জানার একটা ভালাে মাধ্যম। একজন

ব্যাক্তি যে দশ দিন ধরে কোয়ালিটি বই পড়ছে সে
নিঃসন্দেহে স্মার্ট। আপনি সিম্পল ইন্টারেস্টিং কোন
সাহিত্য বা পিলােসােফি পড়ার মাধ্যমে শুরু করতে
পারেন।

5) গ্রোমিংঃ 

খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ । 
আপনার হেয়ার ব্রাশ ক্লিন রাখুন। প্রতিদিন শ্যাম্পু
করুন। চুল এবং চিরুনি দুটাই পরিষ্কার রাখতেই হবে।
হেয়ার ব্রাশ না করে বাসা থেকে বের হবেননা। সময়
নিয়ে হেয়ার ব্রাশ করুন। 

প্রয়ােজনে জেল অথবা ক্রিম
দিয়ে হেয়ার সেটাপ করুন। খুব বেশি জেল বা ক্রিম
দেওয়ার দরকার নায় । খেয়াল রাখবেন জেল যেন
মাথার তালুতে না লাগে।

আপনার স্কিনের যত্ন নিন। দিনে অন্তত দুবার মুখ
ওয়াশ করতে হবে।
দিনে দুবার অন্তত দাত ব্রাশ করুন। যে কোন কিছু
খাওয়ার বা পান করার পর কুলি করুন। আপনার টাং
ও ব্রাশ করুন অন্তত ১ মিনিট।

নিয়মিত গােসল করুন। কোন ভাবে যেন একদিনও
গােসল মিস না হয়। গােসল করা ছাড়া ক্লিন এন্ড ফ্রেশ
দেখানাে অসম্ভব।

লেখকঃA.K

2 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন