ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আল্লাহর সার্বভৌমত্ব হল কোরআন ও হাদীসের আইনের সার্বভৌমত্ব আসমান, জমিন ও তার মধ্যস্থিত সবকিছুর স্রষ্টা ও
মালিক আল্লাহ খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমড় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বস্তরে সুপ্রতিষ্টিত ছিল।
খলিফাগণের আয়ত্ত্বাধীন ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে সার্বভৌমত্বের চূড়ান্ত । কার্যকর হয়েছিল। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ নিষেধের রাজনৈতিক ক্ষমতা সকল বিচারালয়ের মাধ্যমে আইনসম্মত রূপদান করেছিলেন ।
আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ব্যাখ্যা :
ইসলাম ধর্ম ধর্ম মতে, আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা মেনে চললে মানুষের মনের অহমিকা দূর হয়, ক্ষমতার লিপ্সা মানুষকে গ্রাস করতে পারে না।
এটি ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে ঠেলে দিয়ে মানুষদেরকে জনকল্যাণের দিকে মনোযোগী করে তোলে। হযরত মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর খলিফাগণ আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে পুরোপুরি অনুসরণ করেছিলেন বলে তারা জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি মনোযোগী ছিলেন।
তাঁরা রাত্রিবেলা ছদ্মবেশে ঘুরে ঘুরে জনগনের দুঃখ দুর্দশা দেখতেন এবং তা নিরসনের ব্যবস্থা নিতেন। তাঁরা আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমত্বের প্রতি নিজেদেরকে সমর্পণ করেছিলেন বিধায় কোরআন ও হাদীসের আইনের বিরোধী কোনো কাজ করতেন না।
খলিফা গণ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তি পেতেন। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে চললে মানুষের স্বাধীনতা অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকে।
কারণ কোরআন ও হাদীসে যেসব আইন রয়েছে সেগুলো ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থে রদবদল করার ক্ষমতা কারও নেই। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে চললে সমাজে ও রাষ্ট্রে কোনো প্রকারের সংঘাত সৃষ্টি হয় না।
ইসলামী রাষ্ট্রের সাথে অ ইসলামী রাষ্ট্রের তুলনা করলে দেখা যায় অ-ইসলামি রাষ্ট্রে অশান্তি, নিরপত্তাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা বিরাজ করে। মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণির দ্বারা পদদলিত হয়।
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে চললে এবং সে অনুযায়ী পরিচালিত হলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাঠামো সুসংহত হয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সর্বশক্তিমান আল্লাহই হচ্ছেন একমাত্র আদেশ নিষেধ দাতা দলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান এই সার্বভৌম ক্ষমতার দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রের কাঠামোকে সুসংহত ও সুসংগঠিত করেন ।