মানুষ কি বানরের বিবর্তনবাদের মাধ্যমে সৃষ্টি?

মানুষ কি বানর থেকে এসেছে ইসলাম কি বলে


 বিবর্তনবাদ সম্পুর্ন রুপে মিথ্যা।মানুষ আদম হতে সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ অন্য কোন নিকৃষ্ট প্রাণী বা বানর থেকে সৃষ্টি হয়নি।চালর্স ডারউইন যে বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মানব সৃষ্টির ব্যাপারে তা সঠিক নয়।

মানুষ কি বানরের বিবর্তনবাদের মাধ্যমে সৃষ্টি
বিবর্তন 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

 মানুষ কি বানর থেকে এসেছে ইসলাম কি বলেঃ

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন।হযরত আদম(আ.) পৃথিবীর প্রথম মানুষ। হযরত আদম(আ) কে আল্লাহ তায়ালা মাটি থেকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার মধ্যে রুহ দিয়েছেন।মানুষ সমস্ত সৃষ্টিকুলের মধ্যে সুন্দর আকার আকৃতি দ্বারা গঠিত।


মানুষ কি বানর থেকে এসেছে ইসলাম কি বলে


(বিবর্তন )


হযরত আদম(আ.) কে সৃষ্টি করে তার থেকে তার সঙ্গিনি হযরত হাওয়া (আ.) কে সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে সকল বস্তুর নাম গুনাগুন সহ শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের থেকেও মর্যাদা দান করেছেন। 

অন্যান্য সৃষ্টির মাঝে মানুষের মর্যাদা শেষ্ঠ কেন?

খিলাফত ও খুলাফায়ে রাশেদীন


(মানুষের উৎপত্তি)

পৃথিবীর সকল মানুষ হযরত আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি।হযরত আদম (আ.) এর সৃষ্টির পর তিনি নবী ও রাসুল ছিলেন।পৃথিবীতে আল্লাহর খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আদিষ্ট ছিলেন। 

তারপর তার সন্তানগন নবুওয়াত লাভের মাধ্যমে খিলাফাতের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা আদমকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন আর সকল মানুষ

 আদম হতে সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ অন্য কোন নিকৃষ্ট প্রাণী বা বানর থেকে সৃষ্টি হয়নি।চালর্স ডারউইন যে বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মানব সৃষ্টির ব্যাপারে তা সঠিক নয়।



মানুষ কি বানর থেকে এসেছে ইসলাম কি বলে


''যিনি তার প্রত্যেক সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন।হাতে রুহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কান,চোখ ও অন্তঃকরণ। তোমরা তার সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।''(আস সাজদাহ -৭-৯)।

(শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের কি মিল আছে)


''আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেন, আমি পচা কাদা মাটি থেকে তৈরি ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি একটি মানব জাতির পত্তন করব।অতঃপর

 যখন তাকে সম্পুর্ন ঠিকঠাক করে নেয়া হবে এবং তাতে আমার রুহ থেকে ফুক দেব।তখন তোমরা তার সামনে মাথানত হয়ে সেজদানত হয়ে যেয়ো।''(আল হিজর -২৯-৩০)


সুরা আত্ত্বারেক এ বর্নিত হয়েছে, ''অতঃপর মানুষের দেখা উচিত কোন বস্তু দ্বারা সে সৃষ্টি হয়েছে। সে সৃষ্টি হয়েছে সবেগে স্থলিত পানি থেকে।'' সুরা ইয়াছিনে মানব সৃষ্টির সম্পর্কে বলা হয়েছে,

"তারা কি দেখে না আমি তাদেরব জন্য আমি আমার নিজ হাতের তৈরি বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি,গৃহ পালিত পশু, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।" (সুরা ইয়াছিন ৭১) এ আয়াতের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মানব জাতিসহ পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে সবকিছুই মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি

মানুষ কি বানর থেকে এসেছে ইসলাম কি বলে


 করেছেন, কোন কিছুই এমনিতেই সৃষ্টি হয়ে যায়নি। সবকিছু আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। তা সত্ত্বেও আল্লাহ তায়ালা দয়া করে সকল বস্তুর মালিকানা মানুষকে দিয়েছেন।


মানব সৃষ্টির বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা আরো বিস্তৃত ভাবে উল্লেখ করেছেন। আল-কুরআনে বর্ণিতহয়েছে, "আমি মানুষকে প্রথমে মাটির সারাংশ হতে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরুপে সৃষ্টি করেছি। 

অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিনত করেছি।এরপর সেই মাংস পিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি।অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি অবশেষে তাকে এক নতুন রুপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যানময়।" (আল-মুমিন ১৩-১৪)

উপরের আয়াত থেকে এ কথা স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, মাটির সারাংশ দ্বারা মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানব সৃষ্টির সূচনা হয় হযরত আদম (আ.) থেকে এবং তার সৃষ্টি মাটির সারাংশ থেকে হয়েছে। তাই তার প্রথম সৃষ্টিকে মাটির সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে। 

মানুষ কি বানর থেকে এসেছে ইসলাম কি বলে


এরপর এক মানুষের শুক্র অন্য মানুষের সৃষ্টির কারন হয়েছে। পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে, বলে একথাই বর্ণনা করা হয়েছে। আলোচ্য আয়াতে মানব সৃষ্টির সাতটি স্তর উল্লেখ করা হয়েছে। সর্ব প্রথমঃ স্তর মাটির

 সারাংশ, দ্বিতীয়তঃবীর্য, তৃতীয়তঃজমাট রক্ত,চতুর্থতঃমাংস পিন্ড, পঞ্চমতঃ অস্থিপিন্ড, ষষ্ঠতঃঅস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃতকরন,সসপ্তমতঃসৃষ্টির পুর্নত অর্থাৎ রুহ সঞ্চার।

অর্থাৎ এর থেকে বুঝা যায় মানুষ কোন প্রানির বিবর্তনবাদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়নি।মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।চারর্স ডারউইন যে

 বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সম্পুর্ন রুপে মিথ্যা।কোন মুসলিম যদি এই বিবর্তনবাদের উপর বিশ্বাস করে তাহলে তার ইমান থাকবে না।আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুক।(আমিন)

অবশ্যই পড়ুন,

মানব সৃষ্টির সূচনা

সামাজিক অন্যায় অনাচার প্রতিরোধের জন্য ইসলামের বিধান কি?



লেখকঃA.K

4 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন